স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী ও মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষ্যে দেশের প্রতিটি থানায় স্থাপিত নারী, শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী সার্ভিস ডেস্ক এবং গৃহহীনদের জন্য নির্মিত গৃহ হস্তান্তরের শুভ উদ্বোধন করলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
১০ এপ্রিল (রবিবার) সকাল ১০.০০ ঘটিকায় সারাদেশের প্রতিটি থানার সাথে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। এরই ধারাবাহিকতায় মাগুরা জেলার ৪টি থানার সাথেও ভারচ্যুয়ালি যুক্ত হন।
এসময় মাগুরা সদর থানা থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হন জনাব ড. খ. মহিদ উদ্দিন বিপিএম(বার), রেঞ্জ ডিআইজি, বাংলাদেশ পুলিশ, খুলনা।
আরোও উপস্থিত ছিলেন জনাব মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার, মাগুরা সহ জেলা পুলিশ, মাগুরা’র সকল পদমর্যাদার অফিসার্স ও ফোর্সগন।
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাগুরা-১ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য এ্যাডঃ সাইফুজ্জামান শিখর, মাগুরা-২ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য ড.শ্রী বীরেন শিকদার, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব আ ফ ম আবদুল ফাত্তাহ, সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব পঙ্কজ কুমার কুন্ডু,সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা জনাব আবু নাসির বাবলু, মাগুরা পৌরসভার মেয়র জনাব মোঃ খুরশিদ হায়দার টুটুল সহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান প্রধানগণ এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক দলের নেতাকর্মী প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, পুলিশ বাহিনী তাদের মানবিক কাজের মাধ্যমে জনগণের সম্পূর্ণ আস্থা অর্জন করুক।বাংলাদেশের পুলিশ জনগণের সেবক হবে এবং জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করবে। মানুষ পুলিশের কাছে গেলে যে ন্যায় বিচার পাবে, সেই আত্মবিশ্বাসটা যেন মানুষের মধ্যে থাকে।
এসময় তিনি নারী, শিশু, বৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য সারাদেশের প্রতিটি (৬৫৯) থানায় ‘সার্ভিস ডেস্ক’ উদ্বোধন করেন এবং গৃহহীন পরিবারের জন্য পুলিশের নির্মিত ৪০০টি বাড়ি হস্তান্তর এর শুভ উদ্বোধন করেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি পুলিশের এ দুটি মানবিক উদ্যোগের উদ্বোধনকালে পুলিশকে সততার সাথে তাদের দায়িত্ব পালনের আহবান জানান।
জাতির পিতার সেই ঐতিহাসিক উক্তি ‘এই পুলিশকে জনগণের পুলিশ হতে হবে,’ উল্লেখ করে জাতির পিতার কন্যা বলেন, অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করার মাধ্যমেই মানুষের আস্থা, বিশ্বাস ও ভালবাসা অর্জন করা যায় এবং এর মধ্যেই কর্মের সাফল্য নিহিত রয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের পিছিয়ে পড়া, অনগ্রসর, যারা একেবারে তৃণমূলে পড়ে থাকে, তাদের জন্য আপনাদের কাজ করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, যারা নিজেদেরকে অবাঞ্চিত মনে করে এবং শত নির্যাতনের মধ্যেও কোন প্রতিকার চাইতে পারেনা সেই মানুষগুলোর মধ্যে এটা আস্থা ও বিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে হবে এবং তাদেরও যে নাগরিক অধিকার রয়েছে, সেটা নিশ্চিত করতে হবে।
’৯৬ সালে সরকার গঠনের পর পরই থানাগুলো দুস্থ ও নির্যাতিতদের আইনি সহয়তা প্রদানের জন্য তাঁর সরকারের লিগ্যাল এইড সেল গঠন এবং এজন্য আলাদা ফান্ড প্রদানের উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর উন্নয়নটা একদম তৃণমূল থেকেই শুরু করেছে। সর্বস্তরের লোকেরা যেন উন্নয়নের ছোঁয়াটা পায় সেই লক্ষ্য রেখেই আমাদের সরকার কাজ করে যাচ্ছে। পরিশেষে সবাইকে পবিত্র রমযান উপলক্ষে মোবারকবাদ জানিয়ে বাংলা নববর্ষ ও ঈদের অগ্রিম শুভেচ্ছা জানান।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।